Wellcome to National Portal
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মার্চ ২০২৪

সাফল্য ও অর্জন

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দলটি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে উন্নয়নের স্বর্নালী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকেই অকল্পনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বর্তমানে দেশে মানুষের মাথাপিছূ আয়, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য ও পুষ্টিপ্রাপ্তি, স্বাস্থ্য-সামাজিক নিরাপত্তা, সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে ডিজিটাল সুবিধাসহ বিভিন্নক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ও দীর্ঘ সময়ের লকডাউন মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্বেও দেশের উন্নয়ন থমকে যায়নি। অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইভাবে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ৭৫৯ মার্কিন ডলার যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৭৬৫ (দুই হাজার সাতশত পয়ষট্টি) মার্কিন ডলারে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তৎকালীন সরকারের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার প্রতিচিত্র।

উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন:

  • বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি ১০ (দশ) বছর অন্তর জনশুমারি ও গৃহগণনা, অর্থনৈতিক শুমারি এবং কৃষি শুমারি পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও  সেক্টরভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ দারিদ্র্য পরিস্থিতি পরিবীক্ষণের জন্য বিভিন্ন নমুনা জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিবিএস বিষয়ভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রস্তুত  করে থাকে।
  • বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গত ১৫ জুন থেকে ২১ জুন/২০২২ সময়ে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ দেশব্যাপী ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেছে।
  • অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ যথাসময়ে পরিচালিত হয়েছে এবং পরবর্তী অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ প্রকল্প গত ২৯/০৮/২০২৩ তারিখে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে এবং পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
  • বিবিএস গত ৯ জুন থেকে ২০ জুন/২০১৯ সময়ে কৃষি (শস্য, মৎস ও গবাদি পশু) শুমারি ২০১৯ এর তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এবং যথাসময়ে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে।
  • পরিসংখ্যান প্রস্তুত ও প্রকাশের জন্য ইতোপূর্বে কোন সমন্বিত আইন বা বিধিমালা ছিল না। ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মহান জাতীয় সংসদে পরিসংখ্যান আইন পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সত‍্যিকার অর্থে একটি আইনগত কাঠামো পেয়েছে।
  • বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে একটি পেশাগত, কার্যকরী ও দক্ষ পরিসংখ্যান পদ্ধতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘National Strategy for the Development of Statistics (NSDS) শীর্ষক একটি জাতীয় দলিল মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে শক্তিশালীকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য দক্ষ জনশক্তি অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে দক্ষ জনবল তৈরির কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
  • বিবিএস প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৪১ বছর পর ১৬ মে ২০১৯ তারিখে মোট ৮৫টি ক্যাটাগরির পদের সমন্বয়ে বিবিএস-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয় এবং ১৮ মে ২০১৯ ‘বাংলাদেশ গেজেট’-এর অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘পরিসংখ্যান প্রস্তুত ও প্রকাশ বিধিমালা, ২০১৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে।  পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৬;

০১। এসডিজি মনিটরিং ও অফিসিয়াল পরিসংখ্যান সরবরাহ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিসংখ্যানকে সত্যায়ন, সুসমন্বিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে সচিব, পরিংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সভাপতি করে ৫০ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্পৃক্ত করে ‘ন্যাশনাল ডাটা কোআর্ডিনেশন কমিটি (NDCC)’ গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ০৪ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে কো-অপ্ট করা হয়। এসডিজি পরিবীক্ষণে হালনাগাদ ডাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিবিএস পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নেতৃত্বে হালনাগাদ ও Disaggregated Data প্রস্তুতের কাজ করে। অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত প্রদানকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার সাথে হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের জন্য ‘ন্যাশনাল ডাটা কোআর্ডিনেশন কমিটি (NDCC)’ এর মাধ্যমে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ কাজ করছে।

  • বিবিএস এসডিজি’র ২৩১ টি সূচকের মধ্যে ১০৫ টি সূচকের উপাত্তই প্রদান করবে।

০২। জিডিপি এবং জাতীয় হিসাব সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান:

  • প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের চলতি মূল্যে প্রাক্কলিত জিডিপির আকার (Volume) হয়েছে ৪৪,৩৯৩ বিলিয়ন টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩৯,৭১৭ বিলিয়ন টাকা। ২০১৫-১৬ ভিত্তি বছরের স্থির মূল্যে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে শতকরা ৬.০৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ৭.১০ ভাগ। ম্যানুফেকচারিং খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি প্রাক্কালিত হয় ৯.২৩ ভাগ যা পূর্ববর্তী বছরে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ছিল ১১.৪২ শতাংশ।
  • গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১,১৮৪ মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২,৭৬৫ মার্কিন ডলার এ উন্নীত হয়।
  • ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ভোগের (Consumption) পরিমান চলতি মূল্যে ৩২,৮৪০ বিলিয়ন টাকা, বিনিয়োগ ১৩,৮৭৪ বিলিয়ন টাকা, অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় ১১,৫৫২ বিলিয়ন টাকা এবং জাতীয় সঞ্চয় ১৩,৪১৩ বিলিয়ন টাকা প্রাক্কলিত হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ভোগ, বিনিয়োগ, আভ্যন্তরীণ সঞ্চয় এবং জাতীয় সঞ্চয় মোট দেশজ উৎপাদন যথাক্রমে শতকরা ৭৩.৯৮, ৩১.২৫, ২৬.০২ এবং ৩০.২২ ভাগ। ২০২১-২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী এর পরিমান যথাক্রমে শতকরা ৭৪.৭৮, ৩২.০৫, ২৫.২২ এবং ২৯.৩৫ ভাগ।

          অর্থনীতির হালনাগাদ কাঠামোর পরিবর্তন যথাযথভাবে জাতীয় আয় প্রাক্কলনে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক নিয়মিতভাবে জিডিপির ভিত্তিবছর হালনাগাদ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিবিএস-এ জিডিপির ভিত্তিবছর ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৫-১৬ তে পরিবর্তন করা হয়েছে।

  • ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমান ছিল ৫,৯৬৭ বিলিয়ন টাকা যা ২০২১-২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ছিল ৫,১১৬ বিলিয়ন টাকা। মোট রপ্তানি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট জিডিপির ১৩.৪৪ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ১২.৮৮ শতাংশ। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের আমদানির পরিমান ছিল ৮,৫২২ বিলিয়ন টাকা যা ২০২১-২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ছিল ৮,৩০০ বিলিয়ন টাকা। মোট আমদানি ২০২২-২৩ এ মোট জিডিপির ১৯.২০ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০.৯০ শতাংশ।

০৩।     স্যাম্পল ভাইটাল রেজিষ্ট্রেশন সিষ্টেম ইন ডিজিটাল প্লাটফর্ম (SVRS) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত একটি জনমিতিক জরিপ যা দুই জনশুমারির মধ্যবর্তী বছরসমূহের প্রাক্কলিত জনমিতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিষয়ে উপাত্তের চাহিদা পূরণ করে থাকে। SVRS এর তথ্য দেশের বিভিন্ন কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নসহ দেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • প্রতি মাসে সারাদেশের ২০১২টি PSU হতে CAPI পদ্ধতিতে পরিচলিত এই জরিপটির মাধ্যমে প্রত্যাশিত গড় আয়ু, জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার, স্থুল জন্মের হার, স্থুল মৃত্যু হার, মোট প্রজনন হার, শিশুমৃত্যুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর অনুপাতসহ বিভিন্ন সূচকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়,  যা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ জরিপের মাধ্যমে SDG’র ২৭টি সূচকসহ সর্বমোট ১৪৩টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সূচকের তথ্য প্রদান করা হয়।
  • SVRS এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালে দেশে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১.৩৫ শতাংশ যা ২০২১ সালে ছিলো ১.৩০ শতাংশ, স্থুল জন্মহার ২০২১ সালে ছিল ১৮.৮ (প্রতি হাজার জনসংখ্যায়) বর্তমানে ২০২২ সালে তা হয়েছে ১৯.৩। স্থুল মৃত্যু হার ২০২১ সালে ছিল ৫.৭ (প্রতি হাজার জনসংখ্যায়) স্থুল মৃত্যু হার ২০২২ সালে হয় ৫.৮ (প্রতি হাজার জনসংখ্যায়), ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যু হার ২০২১ সালে ছিল ২৮ (প্রতি হাজার জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে) বর্তমান ২০২২ সালে তা হয়েছে ৩১। মাতৃমৃত্যু হার ২০২১ সালে ছিলো ১৬৮ (প্রতি লক্ষ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে) ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ১৫৬ (প্রতি লক্ষ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে)।
  • প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২০২১ সালে ছিল ৭২.৩ বছর তা ২০২২ সালে বেড়ে ৭২.৪ বছর হয়েছে।
  • জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনসংখ্যা ২০২১ সালে ছিল ৯৬.৮৬ শতাংশ ২০২২ সালে হয়েছে ৯৭.১৪ শতাংশ।
  • সাক্ষরতার হার (৭ বৎসর+) ২০২১ সালে ছিল ৭৬.৪ শতাংশ যা ২০২২ সালে বৃদ্ধি হয়েছে ৭৬.৮ শতাংশ। সাক্ষরতার হার (১৫ বৎসর+) ২০২১ সালে ছিল ৭৪.১ শতাংশ এবং ২০২২ সালে হয়েছে ৭৪.৪ শতাংশ।

০৪।  বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর আরোও একটি নিয়মিত পরিচালিত জরিপ হলো খানার আয় ও ব্যয় জরিপ (HIES)। এই জরিপের তথ্য মতে:

  • উন্নত টয়লেট ব্যবহারকারী খানা ৯২.৩%। বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবহারকারী খানা ৯৬.১%।
  • খানার গড় মাসিক আয় ২০২২ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ৩২,৪২২ টাকা যা ২০১৬ সালে ছিলো ১৫,৯৮৮ টাকা।
  • ২০২২ সালে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যার হার ১৮.৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যার হার ৫.৬ শতাংশ। যা ২০১৬ সালে ছিলো যথাক্রমে ২৪.৩ শতাংশ এবং ১২.৯ শতাংশ।

০৫। শ্রমশক্তি জরিপ কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত তথ্য শ্রমবাজারের দক্ষতা, গতিধারা এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদানপূর্বক সরকার, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা, গবেষক এবং জনসাধারণকে কর্মসংস্থান এবং শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যবহুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসডিজি ৮ পরিবীক্ষণের জন্য শ্রমশক্তি জরিপ হলো সরকারি পরিসংখ্যানের প্রধান উৎস।

  • মোট শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত জনবল ৭৩.০৫ মিলিয়ন (পুরুষ ৪৭.২৭ মিলিয়ন, মহিলা ২৫.৭৮ মিলিয়ন) যা ২০১৬-১৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৩.৫ মিলিয়ন (পুরুষ ৪৩.৫ মিলিয়ন, মহিলা ২০ মিলিয়ন) ছিল।
  • কর্মে নিয়োজিত জনসংখ্যা ৭০.৪৭ মিলিয়ন (পুরুষ ৪৫.৬১ মিলিয়ন, মহিলা ২৪.৮৬ মিলিয়ন) যা ২০১৬-১৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৬০.৮ মিলিয়ন (পুরুষ ৪২.২ মিলিয়ন, মহিলা ১৮.৬ মিলিয়ন) ছিল।
  • বেকার জনসংখ্যা ২.৫৮ মিলিয়ন (পুরুষ ১.৬৬ মিলিয়ন, মহিলা ০.৯২ মিলিয়ন) যা ২০১৬-১৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২.৭ মিলিয়ন (পুরুষ ১.৪ মিলিয়ন, মহিলা ১.৩ মিলিয়ন) ছিল।
  • শ্রমশক্তির বাহিরে জনগোষ্ঠী ৪৬.৩২ মিলিয়ন (পুরুষ ১১.৮২ মিলিয়ন, মহিলা ৩৪.৫ মিলিয়ন) যা ২০১৬-১৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৫.৫ মিলিয়ন (পুরুষ ১০.৬ মিলিয়ন, মহিলা ৩৫.০ মিলিয়ন) ছিল।
  • শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বেকারত্বের হার ৩.৫৩% যা ২০১৬-১৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৪.২% ছিল।
  • শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারীর হার ৬১.২০% যা ২০১৬-১৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৫৮.২% ছিল।
  • অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত জনবলের সংখ্যা ৩১.৯৮ মিলিয়ন, শিল্প খাতে ১১.৯৭ মিলিয়ন এবং সেবায় ২৬.৫২ মিলিয়ন। শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুযায়ী কৃষিতে ২৪.৭ মিলিয়ন, শিল্প খাতে ১২.৪ মিলিয়ন এবং সেবায় ২৩.৭ মিলিয়ন জনবল নিযুক্ত ছিল।
  • যুব শ্রমশক্তি ২৬.৮২ মিলিয়ন (পুরুষ ১৩.৫৬ মিলিয়ন, মহিলা ১৩.২৬ মিলিয়ন) যা ২০১৬-১৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০.১ মিলিয়ন (পুরুষ ১৩.১ মিলিয়ন, মহিলা ৭ মিলিয়ন) ছিল।

০৬। ICT Use and Access by Individuals and Households সার্ভের রিপোর্ট:

  • জাতীয় পর্যায়ে খানায় বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৯৭.৯ শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ছিল ৮৭.৭ শতাংশ। অনুরূপভাবে খানায় কম্পিউটার ব্যবহারকারী ৮.৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বর্তমানে ৪৩.৩ শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ছিল যথাক্রমে ৫.৭ শতাংশ এবং ৪.৮ শতাংশ। 
  • ব্যক্তিগত পর্যায়ে বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৯০.৫ শতাংশ, কম্পিউটার ব্যবহারকারী ৭.৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বর্তমানে ৪৪.৫ শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ছিল যথাক্রমে  ৮১.৭ শতাংশ, ৫.৬ শতাংশ এবং ৬.৭ শতাংশ।  

০৭। স্বাধীনতার পর দেশে গত পাঁচ দশকের বেশি সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি হয়েছে এবং দেশে কৃষি জমি আশংকাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে; তথাপি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণের বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান দু’টি ফসল উৎপাদনের একটি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হলো:

ফসল

উৎপাদন

২০১৯-২০২০

২০২০-২০২১

২০২১-২০২২

২০২২-২৩

চাল

৩৬.৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন (ছত্রিশ দশমিক ষাট) মিলিয়ন মেট্রিক টন

৩৭.৬১ মিলিয়ন মেট্রিক টন (সাঁইত্রিশ দশমিক একষট্টি) মিলিয়ন মেট্রিক টন

৩৮.১৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন (আটত্রিশ দশমিক চোদ্দ) মিলিয়ন মেট্রিক টন

৩৯.০৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন (উনচল্লিশ দশমিক শূণ্য নয়) মিলিয়ন মেট্রিক টন

পাট

৮.০৫ মিলিয়ন বেল (আট  দশমিক শূণ্য পাঁচ) মিলিয়ন বেল

৭.৭২ মিলিয়ন বেল (সাত দশমিক সাত দুই) মিলিয়ন বেল

৮.৪৩ মিলিয়ন বেল (আট  দশমিক চার তিন) মিলিয়ন বেল

৮.৪৫ মিলিয়ন বেল (আট  দশমিক চার পাঁচ) মিলিয়ন বেল

খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্ব অর্থনীতির পরিসাংখ্যানে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন এক অনন্য উদাহরণ। চাল, পাট ও অনান্য খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। FAO এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় এবং পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

Sources:

  1. Report on Bangladesh Sample Vital Statistics 2022, BBS.
  2. Household Income and Expenditure Survey 2022, BBS
  3. National Accounting Wing, BBS
  4. Report on ICT Use and Access by Individuals and Households 2023, BBS.
  5. Labour Force Survey 2015-16.
  6. Labour Force Survey 2022.
  7. জাতীয় হিসাব পরিসংখ্যান, অক্টোবর ২০২২।

 

New15 years prime minister Report update_97 NEW.doc New15 years prime minister Report update_97 NEW.doc